হাওজা নিউজ এজেন্সি: মরহুম আয়াতুল্লাহ বাহজাত (রহ.) “মিম্বরের গুরুত্ব এবং শর্তাবলী” শীর্ষক তাঁর ক্লাস-পরবর্তী এক বক্তৃতায় একজন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীনের স্মৃতি শেয়ার করেছিলেন, যা হাওজা নিউজ এজেন্সির পাঠক, আলেম-ওলামা, মুবাল্লিগে দ্বীন ও জ্ঞানীদের খেদমতে তুলে ধরছি:
মরহুম আয়াতুল্লাহ বাহজাত (রহ.) বলেছিলেন: শেখ হাদী খোরাসানী (রহ.), যাকে আমাদের সময়ের একজন বিশিষ্ট ইসলামি পণ্ডিত হিসেবে বিবেচনা করা হত, (তিনি) এক বক্তৃতায় বলেছিলেন: “মরহুম সাইয়্যিদ মুহাম্মদ কাজিম ইয়াজদীর পরে দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণের জন্য লোকেরা আমার চারপাশে জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টির জটিলতা এবং কাজের বিশালতার কারণে আমি মহান শিক্ষকতার দায়িত্ব, পরিচালনা ও মারজিয়াতের গুরুভার থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলাম।”
আমি একদিন স্বপ্নে আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে দেখলাম এবং তিনি আমাকে বললেন: “তুমি মারজিয়াত কবুল করছো না কেন?”
আমি বললাম, “এটা বেশ কঠিন এবং ভারী দায়িত্ব।”
তিঁনি (সা.) বললেন, “তাহলে মিম্বরে যাও, তবে তিনটি শর্তে:
প্রথমত: তোমার করা কোনও ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না।
দ্বিতীয়ত: তারা তোমাকে মিম্বরের জন্য যা (হাদিয়া) দেবে তা গ্রহণ করো এবং কম-বেশি নিয়ে ভেবো না।
তৃতীয়ত: যদি তুমি মিম্বরে থাকো এবং তোমার বক্তৃতার সময় তারা যদি চা, পানি, শরবত বা অন্য কিছু পরিবেশন করে, তাহলে অভিযোগ করো না এবং বিরক্তও হইও না।”
আপনার কমেন্ট